দিনাজপুর সদর উপজেলার জনবান্ধব উপজেলা নির্বাহী অফিসার জনাব, মো: আব্দুর রহমান স্যার বিদায় নিচ্ছেন। সদর উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, মো: আব্দুর রহমান স্যার বর্তমানে সৈদয় পুর সেনানিবাসে ক্যান্টলমেন্ট এক্সকিউটিভ অফিসার পদে দায়িত্ব পেয়েছেন। সদর উপজেলা থেকে বিদায় নিচ্ছেন আগামী ১১/০২/২০১৮ইং তারিখ ।
উল্লেখ্য যে, ০৭/১১/২০১৩ ইং দিনাজপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার হিসেবে যোগদান করে বিগত কয়েক বছরে বিভিন্ন সময়োপযোগী কার্যক্রমের ফলে পাল্টে গেছে উপজেলার সার্বিক চিত্র।
উপজেলার সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতে নজর রাখা, প্রতিটি অফিসে সেবার মান বৃদ্ধি এবং ভোগান্তি কমানো, প্রকৃত কৃষকের মাঝে উপকরন বিতরন, অবৈধ বালু উত্তলোন বন্ধ, বৃক্ষরোপণ অভিযান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মিড ডে মিল চালু, প্রকৃত হতদরিদ্রের কাছে সেবা পৌঁছে দেওয়া, প্রতি সপ্তাহে ভেজাল বিরোধী অভিযান পরিচালনা, হাট বাজারগুলো আধুনিক করা, স্থানীয় সরকার বিভাগের কার্যক্রমে স্বচ্ছতা বজায় রাখা, প্রকৃত ভূমিহীনদের মাঝে খাস জমি বন্টন, প্রায় লক্ষাধিক গাছ লাগান, তাল গাছ প্রায় ৪০০০ হাজার রপন করেন এমন কি তিনাকে কৃষিবান্ধব ইউএনও বলেন গ্রামের মানুষ আখ্যায়িত করেন। ভিক্ষুকমুক্ত করণে ডাটাবেজ তৈরী, গৃহহীন দের ঘর নির্মাণে উদ্যোগ গ্রহন, সর্বপরি রাস্তা ঘাট ব্রিজ কালভার্ট এর ছোয়া লাগেনী এমন কোন অঞ্চল নাই । ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারের পূর্বের চিত্র পরিবর্তন করে নতুন সাজে রুপান্তিত করেন। ভুমি সেবাকে সহযোগীকরন করেন।
এবং বাল্য বিবাহের হার প্রায় শুন্যতে আনেন প্রভূতি কাজের জন্য পাল্টে গেছে পুরো উপজেলার চিত্র।
রামসাগরকে মাছে ভরপুর রাখার ব্যবস্থা গ্রহন করে, দর্শনার্থীদের ভ্রমনের জন্য নৌকার ব্যবস্থা গ্রহন করেন, দিনাজপুরে বিভিন্ন অঞ্চলে পর্যটন অঞ্চলে পরিনত করার জন্য ব্যপক কর্মসূচী রাখেন।
বিশেষ করে আদিবাসী ও প্রতিবন্ধীদের নিয়ে বিভিন্ন প্রশংসনীয় কাজ করেছেন। এছাড়া দিনাজপুরের ১৩ টি উপজেলার মধ্যে তাঁর উদ্যোগেই দিনাজপুর সদর আধি বাসি নিয়ে কাজ করা হয়।
মাদক প্রতিরোধে তাঁর ভূমিকা ছিল প্রশংসনীয়, তিনি নিজে উপস্থিত থেকে ঝুঁকিপূর্ণ মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করেন। জনাব মো: আব্দুর রহমান এর উদ্যোগেই ২০১৩ সন হতে অদ্য পর্যন্ত যা পুরো দেশে নজির স্থাপন করে। ২০১৬ সালে মাদক নির্মূলে জেলার শেষ্ট কর্মকর্তা নির্বাচিত হয়।
উত্তরবঙ্গের মধ্যে দিনাজপুর প্রথম বৃদ্ধাশ্রম প্রতিষ্ঠা করেন। এবং হিজড়াদের উন্নয়নে জন্য ব্যপক কর্মসূচী প্রদান করেন।
দিনাজপুর সদর উপজেলা পরিষদ চত্বর কে তিনি নিজের মনের মাধুরী মিসিয়ে দর্শনীয় স্থানে পরিনত করেন।যা দর্শন না করলে বুঝা যায়না ।
উপজেলার কয়েকজন সচেতন লোকের সাথে কথা বলে জানা যায়, তাঁর ফলেই অফিসগুলোতে অনিয়ম-দুর্নীতি ও ভোগান্তি কমেছে এবং প্রতিটি প্রতিষ্ঠানগুলোতে সেবার মান বৃদ্ধি পেয়েছে।
উল্লেখ্য যে, দিনাজপুর সদর ইউএনও দায়িত্বে থাকাকালীন সময়ে ১বার ডিজিটাল উদ্ভাবনী মেলায় জনগনের দ্বারগোড়ায় সেবা প্রদান কারী হিসেবে জেলার শ্রেষ্ঠ ইউএনও হন এবং রংপুর বিভাগের শ্রেষ্ঠ ইউএনও হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন। ২০১৬ সালে মাদক নির্মূলে জেলার শেষ্ট কর্মকর্তা নির্বাচিত হয় তিনি।
যা বললে নয় তিনি যে সৎ, যোগ্য, কর্মঠ দক্ষতার বলিয়ান তা উপজেলা পরিষদ চত্বরে জিন উদ্যোগে তিনার একটি গাভীর ফার্ম প্রতিষ্ঠা করেন। সেখানে বর্তমানে প্রায় ৩০-৪০টি গরু রহিয়াছে। ইউএনও হওয়া সত্যেও ফার্ম প্রতিষ্ঠা দেখে প্রায় দিনাজপুর সদর উপজেলায় ১০০টির বেশী ফার্ম তৈরী হয়েছে। ফার্ম সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন সকাল সন্ধায় গাভীগুলির পরিচর্যা তিনি নিজেই করেন।
এ বিষয়ে দিনাজপুর সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আব্দুর রহমান বলেন, আমি প্রজাতন্ত্রের একজন কর্মকর্তা হিসেবে কাজ করেছি, যথাসাধ্য চেষ্টা করেছি আমার উপর সরকারের অর্পিত দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করার। মানুষ তার কর্মের মধ্যে দিয়ে চিরজীবন বেঁচে থাকে, আমিও আমার কর্ম দিয়ে আপনাদের মাঝে বেঁচে থাকতে চাই। সকল কাজে সদর বাসীর সহযোগিতা ও সমর্থন ছিল আমার মূল প্রেরণা। দিনাজপুর -৩ আসনের মাননীয় এমপি ও হুইপ জবান মো: ইকবালুর রহিম মহোদয়ের এবং উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি জনাব মো: এমদাদ সরকার ও বিশ্বজিৎ ঘোষ কাঞ্চান এবং উপজেলার উপজেলা চেয়ারম্যান সহ ১০টি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের আন্তরিকতায় সুন্দর ভাবে সাধারন জনগনকে সেবা প্রদানে নিশ্চিত করতে পেরেছি এজন্য আমি নিজেকে ধন্যমনে করি। তিনি আবেগ-আপ্লুত কন্ঠে আরো বলেন, দিনাজপুর সদর কথা আজীবন মনে থাকবে, এখানাকার মানুষের ব্যবহারে সত্যিই মুগ্ধ । সদরবাসীর জন্য শুভ কামনা রইল। প্রকাশে মো: সাখাওয়াত হোসেন, সভাপতি ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার, জেলা শাখা, দিনাজপুর ও উদ্যোক্তা ১০নং কমলপুর ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার, উপজেলা: সদর, জেলা দিনাজপুর।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস